শিরোনাম
লক্ষ্মীপুর৭১অনলাইন | ১০:৫৫ পিএম, ২০২০-১২-০৪
আজ চার ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর পাকহানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা সর্বাত্মক আক্রমণ চালিয়ে লক্ষ্মীপুর জেলায় অবস্থানকারী পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করেন। আর এর মধ্য দিয়ে জেলাবাসী মুক্তি পায় পাক হানাদারবাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার-আল বদরদের হত্যা, লুট, এবং নির্যাতনের হাত থেকে।
এর আগে স্বাধীনতা যুদ্ধের পুরো সময় জুড়ে লক্ষ্মীপুর জেলা ছিল পাকহানাদার বাহিনী ও তাদের সাহায্যকারী রাজাকার-আলবদরদের হত্যা, লুট, অগ্নিসংযোগ এবং ধর্ষণের ঘটনায় ক্ষত-বিক্ষত।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুরকে হানাদারমুক্ত করতে মুক্তিযোদ্ধারা ৯ মাস জেলার বিভিন্ন স্থানে পাকহানাদার বাহিনীর সাথে ১৯টি সম্মুখ যুদ্ধসহ ২৯টি দুঃসাহসিক অভিযান চালায়। এতে শহীদ হন ১১৪ জন বীরমুক্তিযোদ্ধা সহ কয়েক হাজার মুক্তিকামী বাঙালি।
পাক হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করতে সর্বপ্রথম মুক্তিযোদ্ধারা জেলা শহরের মাদাম ব্রিজটি উড়িয়ে দেন। আজও এর স্মৃতি হিসেবে ব্রিজের লোহার পিলার দাঁড়িয়ে আছে।
মুক্তিযুদ্ধের নয়,মাস ধরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন স্থানে নারকীয় তাণ্ডবলীলা চালায়। হানাদার বাহিনী শহরের বাগবাড়ীতে ক্যাম্প স্থাপন করে বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিকামী হাজার হাজার নর-নারীকে ধরে এনে টর্চার সেলে অমানবিক নির্যাতন চালাত এবং নারীদের পাশবিক নির্যাতন শেষে হত্যা করে বাগবাড়ীর গণকবর, মাদাম ব্রিজ এলাকা সহ বিভিন্ন যায়গায় গর্তে পুঁতে ফেলত।
আবার অনেককেই ফেলে দিত খরস্রোতা রহমতখালী নদীতে। নারকীয় এসব হত্যাযজ্ঞের নীরব সাক্ষী হয়ে আছে শহরের বাগবাড়ীর গণকবর, মাদাম ব্রিজ, পিয়ারাপুর ব্রিজ ও মজুপুরের কয়েকটি হিন্দু ও মুসলমান বাড়ি।
কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা জানিয়েছেন, ৭১ সালের ২১মে ভোরে লক্ষ্মীপুর শহরের উত্তর ও দক্ষিণ মজুপুর গ্রামের হিন্দু পাড়ায় ভয়াবহ তাণ্ডবলীলা চালায় পাকহানাদার বাহিনী। বাড়ি-ঘরে আগুন লাগিয়ে, বহু মানুষকে গুলি ও বেওনেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা। এতে শহীদ হন প্রায় ৪০ জন নিরস্ত্র মুক্তিকামী বাঙালি। পরে ১৯৭১ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল হায়দার চৌধুরী ও সুবেদার আব্দুল মতিনে এর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা সাঁড়াশি আক্রমণ চালান পাক হানাদার বাহিনীর বিভিন্ন ক্যাম্পে। অবশেষে চার ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় হানাদার বাহিনী এবং এর সাহায্য কারী রাজাকাররা।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল সূত্রে জানা যায়, দিবসটি উপলক্ষে প্রতিবছর শহীদদের কবর জিয়ারত ও মোনাজাত, র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়ে থাকে।
এনায়েত হোসাইন ভূঁইয়া মামুন(রায়পুর প্রতিনিধি) : সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত জাহাঙ্গীরের পরিবারের প্রতি মানবিক সাহায্যের আকুল আবেদন। সড়ক দূর্ঘটনায় অক...বিস্তারিত
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি ব্যুরো(রবিন হোসেন তাসকিন) : লক্ষ্মীপুর জেলা-প্রশাসকের স্ব পরিবার করোনায় আক্রান্ত লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জন...বিস্তারিত
লক্ষ্মীপুর৭১অনলাইন : বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে সন্ত্রাস দুর্নীতি দর্শন মাদককে না বলার শপথ ধর্ষণ, দু...বিস্তারিত
এনায়েত হোসাইন ভূঁইয়া মামুন(রায়পুর প্রতিনিধি) : রায়পুরে পানিতে পড়ে শিশুর মৃত্যু লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর পৌর শহরের ১নং ওয়ার্ড (নতুন বাজার) খাজ...বিস্তারিত
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি ব্যুরো(রবিন হোসেন তাসকিন) : ৭১ বাংলা স্যাটেলাইট টেলিভিশনের লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি হলেন রবিন হোসেন তাসকিন "বিশ্বব্যা...বিস্তারিত
লক্ষ্মীপুর৭১অনলাইন : সব পীর ভন্ড নয়। কিছু পীর বীরও হয়। আজ এমনই এক পীরের বীরত্ব জায়গা করে নিলো বিশ্বমিডিয়ায়। ইসলামী আন্দ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2021 lakshmipur 71 | Developed By Muktodhara Technology Limited