শিরোনাম
গাইবান্ধা প্রতিনিধি | ০৬:১৯ পিএম, ২০২০-০৬-১৯
একদিকে জেলায় বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, অপরদিকে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই চলছে পশুর হাট। প্রায় আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে হাট–বাজার, দোকান–পাট। ক্রেতাদের ভিড়ও বাড়ছে। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ক্রেতা-বিক্রেতা কারো মধ্যেই নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই। দূর থেকে দেখলে মনে হবে কোন মেলার চিত্র। কিন্তু বাস্তবে এটি গাইবান্ধা সদর উপজেলার দারিয়াপুর পশুর হাট। দেদারছে চলছে গরু, ছাগল কেনাবেচা। সীমিত পরিসরে হাট পরিচালনার কথা থাকলেও জনসমাগম এতটাই যে-হাট কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। সামাজিক দূরত্বসহ কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার তোয়াক্কা করছেনা কেউ। ফলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
১৯ জুন শুক্রবার সদর উপজেলার দারিয়াপুর হাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোন প্রকার স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলছে গবাদিপশুর হাটটি। সেইসাথে বেশিরভাগ ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে নেই মাস্ক। সীমিত পরিসরে ও সামাজিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট পরিচালনার কথা থাকলেও কিছু মানা হচ্ছে না সেখানে। সপ্তাহে দুই দিন মঙ্গল ও শুক্রবার বসে এই হাট।
হাটে গরু কিনতে আসা সদর উপজেলার কুপতলা গ্রামের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী বললেন, গরুর হাটের অবস্থা দেখে তা মনে হচ্ছে না দেশে করোনা মহামারী চলছে। সবাই ইচ্ছেমত গরু ছাগল কেনাকাটা করছেন। করোনাকালে গরুর হাটে সেই আগের চিত্রই আবার ফিরে এসেছে। কেউ নিয়ম মানছেন না। বেশিরভাগ মানুষের মুখে মাস্ক নেই। এভাবে চলতে থাকলে ব্যাপকহারে করোনা ছড়াতে পারে।
হাটে আসা গাইবান্ধা শহরের সার্কুলার রোডের বাসিন্দা তপন চৌধুরী বলেন, গণপরিবহন খুলে দেওয়ার পর এই গরুর হাট চালু করা হয়েছে। ফলে অন্যান্য জেলা ও উপজেলা থেকে পাইকাররা গরু কিনতে আসছেন। অনেকে আগেরদিন এসে রাত্রিযাপন করছেন। কেউ মানছেন না নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব। ফলে অন্য জেলা থেকে আসা লোকজন ও পাইাকাররা করোনা ঝুঁকি বাড়াচ্ছেন।
গরু বিক্রেতা সদর উপজেলার ঘাগোয়া গ্রামের আবুল কাশেম বলেন, আমরা গ্রামের মানুষ। করোনায় ক্ষতি হয় জানি। কিন্তু কি করবো, সারাদিন কৃষি কাজ করতে হয়। গরু ছাগলের লালন পালন করতে হয়। কতক্ষণ মাস্ক পড়ে থাকবো। টাকা দরকার তাই হাটে গরু বিক্রি করতে এসেছি।
দারিয়াপুর গরুর হাটের ইজাদারের প্রতিনিধি কালাম মিয়া বলেন, যতক্ষণ হাট চলে ততক্ষণ মাইকে মাস্ক ব্যবহার ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে বলা হচ্ছে। তবুও কেউ নিয়ম মানছেন না।
গাইবান্ধা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোন বিকল্প নেই। বেশি জনসমাগম করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। তিনি আরও জানান, সদর উপজেলার মানুষ করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে। হাটবাজারে জনসমাগম ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেবে। হাটে অবশ্যই সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে হবে। গরুর হাটে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে বেচাকেনা ও সবাইকে মাস্ক পড়তে মাইকিং করা হয়েছে। এ ছাড়া যাতে সবাই সামাজিক দুরত্ব মানে সেজন্য গরুর হাটে পুলিশ ও গ্রাম পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে।
একদিকে জেলায় কোভিড–১৯ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে মানুষের চলাচল বেড়েছে। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধা জেলায় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) ১৯৩ এ দাড়িয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় করোনায় মারা গেছে ৬ জন এবং সুস্থ্ হয়েছেন ২৫ জন। এছাড়া আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৬২ জন।
(লক্ষ্মীপুর৭১ডটকম/ আল কাদরি কিবরিয়া সবুজ)
লক্ষ্মীপুর৭১অনলাইন : স্টাফ রিপোর্টার,ময়মনসিংহ:- ময়মনসিংহের ত্রিশালে করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার...বিস্তারিত
লোকমান হোসাইন( রামগঞ্জ উপজেলা) : করোনা ভাইরাসের ফলে কোভিড ১৯ আক্রান্তের সংখ্যা আবারও দ্রুতই বেড়ে চলেছে। এ অবস্থায় সারাদেশে আবার...বিস্তারিত
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি ব্যুরো(রবিন হোসেন তাসকিন) : হামছাদী ইউনিয়নে মসজিদের মুসল্লীদের মাঝে মাস্ক বিতরণ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা ২নং দক্ষিণ হামছাদ...বিস্তারিত
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি ব্যুরো(রবিন হোসেন তাসকিন) : লক্ষ্মীপুর জেলা সেচ্চাসেবকলীগের সহ-সভাপতি মোনায়েম হোসেনের উদ্যোগে মাস্ক বিতরন করা হয়েছে। ...বিস্তারিত
ইসমাইল খাঁন সুজন (লক্ষ্মীপুর ) : লক্ষ্মীপুরে আদর্শ মানব কল্যাণ এর উদ্যোগে মাস্ক বিতরণ। লক্ষ্মীপুর জেলার অন্যতম সেচ্ছাসেব...বিস্তারিত
ইসমাইল খাঁন সুজন (লক্ষ্মীপুর ) : লক্ষ্মীপুরে জেলা ছাত্রলীগের সেচ্ছাসেবক টিমের ৬ষ্ঠ তম (করোনার উপসর্গ) মৃত ব্যক্তির লাশ দাফন সম্পূ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2021 lakshmipur 71 | Developed By Muktodhara Technology Limited