শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক | ০৫:৪৭ পিএম, ২০২০-০৬-২০
পরিচিত অনেকেই ফোন করে পুলিশি পরামর্শ চায়।কিন্তু তাঁরা আমার লেখা পড়বে না,কারন
নামী দামী লেখক আর পদবী,ছাড়া বা আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ছাড়া কারো লেখা লেখা ই না।আর ফোনে সহজলভ্য।পরিচিত মানুষ আর কি ই বা জানে।পাঠক সংকটের কারনে বিব্রত। কিন্তু কি করব ফেসবুক এ লিখতে তো কাগজ কলম লাগে না।তবুও এই লেখা র এক দশমাংশ প্রিন্ট করে মেনে চললে আগামী দশ বছর থানা পুলিশে যাওয়া লাগবে না বলে ধারনা করছি।
""কাল্লু তুই জব্বর আলী কে চিনিস না। তোর ভাই বাক্কার কে পেতে হলে 5লাখ টাকা নিয়ে কালা পাহাড়ে আয়।আর হ্যাঁ পুলিশ কে বলবি না।বলেও লাভ নেই কালা পাহাড়ে পুলিশ আসতে একদিন লাগবে।তার আগেই তোর ভাইকে পাহাড়ের উপর থেকে ফেলে দেব"""
এই কথা শোনা র পর কাল্লু আর থাকে ।টাকা দিয়ে ভাইকে নিয়ে আসে ।আর জব্বর এর মেয়ে মারিয়া কে অপহরণ করে 10 লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে কয়লা পাহাড়ের গুহায় আসতে বলে""
তাহলে কেন তারা পাহাড়ে?পাহাড়ে কি হয়?পাহাড়ে র নাম আর যাওয়ার রাস্তা কেমন?তারা কখন কি করে ?তাদের অস্ত্র কয়টি?নির্জন স্থান যেখানে পুলিশ যেতে একদিন লাগে তার আগে ই চুড়া থেকে ভিকটিম কে ফেলে দিবে ?সব সুবিধা ই তাদের অনুকূলে।
নিজ দেশের বাহিনী দ্বারা চরম নির্যাতিত হয়ে রোহিংগা রা এদেশে আশ্রিত ।নাফ নদী পাড় হয়ে বা রহমতের বিল দিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছে উখিয়া র পাহাড়ের মধ্যে। অনেক শরণার্থী ইচ্ছে করেই দুর্গম পাহাড়ে আস্তানা করেছে।যাতে করে অপরাধ করা যায়। কিন্তু অল্প কয়েক জন রোহিংগা হয়েছেঅপরাধী। তারা কিন্তু নিজেদের শরণার্থী দের ই অপহরণ করে ,ধর্ষণ করে ,চাঁদা বাজি করে ।একই লাইনে নির্যাতিত হয়ে সেখানে কিছু করতে পারেনি আর এখানে তারই সাথের শরণার্থী র রিলিফের টাকা ছিনতাই করছে আর সম ব্যাথা র মানুষ দের নির্যাতন করছে ।এ তো রীতিমতো কাপুরুষের কাজ ।এক ধরনের অসুস্থতা ও বটে।
এ গুলো করার জন্য ই তারা পাহাড়ে আশ্রয় নিয়েছে।কারন তারা নিজেদের শরণার্থী দের হর্তাকর্তা মনে করে ।অন্য দেশের ভূমিতে সন্ত্রাসীর ভুমিকা রীতিমতো বহিষ্কারের অপরাধ।সমতল ভূমিতে তারা অপরাধ করতে পারবে না ।যেমন ভাসান চর কোন সুযোগ হবে না।
তাদের মধ্যে অপরাধী সংখ্যায় কম আর এদেশের পুলিশের কাছে সব অপরাধী ই ধরা পড়ছে।বাংলাদেশ পুলিশ অপরাধ দমনে ও নিয়ন্ত্রণে বিশ্বে রোলমডেল। পাহাড়ে ও সফল অভিযানে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ নিয়মিত গ্রেফতার হচ্ছে।
তাদের অপরাধ কার্যক্রম কিন্তু অন্যান্য অপরাধী র মতই ।একই মডাস অপারেন্ডি। অপরাধ বিজ্ঞান মতে অপরাধ সংঘটিত হতে হলে ন্যূনতম তিনটি উপাদান দরকার হয়।১) পরিবেশ মানে স্থান, সময় কাল ,অবস্থা ইত্যাদি , ২)অপরাধী, ৩)অপরাধের শিকার অর্থাৎ ভিকটিম।
ভিকটিম/
সাধারণত নারী-শিশু ও দুর্বল চিত্তের ব্যক্তি ভিকটিম হতে পারে। আবার যার ধন- দৌলত, টাকা,বাড়ী,গাড়ি, রূপ সৌন্দর্য, আছে তিনি চুরি ডাকাতি,খুন ,ছিনতাইয়ের ভিকটিম হতে পারেন। যার ক্ষমতা নেই তিনি ক্ষমতার দ্বারা ভিকটিম হতে পারেন। যার পদ নেই তিনি উর্ধ্বতন পদের দ্বারা ভিকটিম হতে পারেন। শত্রু, বন্ধু বা পেশাদার অপরাধীর দ্বারা ভিকটিম হতে পারেন। সৌন্দর্য অথবা নিজের গুণ ,জ্ঞান ,নাম ,যশ ,খ্যাতি, অন্যের ঈর্ষার কারণ হলে ভিকটিম হতে পারেন।
ভিকটিম হওয়া থেকে সতর্ক থাকলে অপরাধ সংঘটিত হবে না।। এটা মোটামুটি সহজ
অপরাধী/
বিত্ত-বৈভব ,নাম ,যশ ,সম্মান ,উচ্চাসন পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা ,লোভ ,লালসা থেকে অপরাধী মন মানসিকতা সৃষ্টি হতে পারে।
অপরাধ মনের কুপ্রবৃত্তি, ভারসাম্যহীন চিন্তা, চেতনা ,অবৈধ প্রাপ্তির ধ্যানধারণা, সমাজে ,রাষ্ট্রে নিজেকে তুলে ধরার যোগ্যতাহীন চিন্তা-চেতনা থেকে মানুষ অপরাধ করে।
কেউ ঠক, প্রতারিত হলে,দেশান্তর হলে , অপমানিত হলে, প্রাপ্ত জিনিস না পেলে, অভাববোধ, হতাশা ,শক্তির দাপটে শক্তিহীনতা,যোগ্য হয়েও অযোগ্য থাকা ইত্যাদি কারণে অপরাধী হয়ে ওঠে।
নিজেকে এ সব থেকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারলে অপরাধী হওয়ার কোন সম্ভাবনাই নাই।
পরিবেশ/
এটি অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করে।ভিকটিম ও অপরাধী তো পরিবার, সমাজ, পরিবেশের মধ্যেই ঘুরপাক খায়।
ধরা যাক অপরাধী ধর্ষণ করবে, তাহলে তার সুনির্দিষ্ট একটি জায়গা যেমন নির্জন স্থান বা বদ্ধ ঘর, ভিকটিমকে একা পাওয়া, যখন লোক চলাচল কম ,বিশেষ করে রাত্রিবেলা, বা ভিকটিমের ছবি মোবাইলে ব্লাকমেইলিং করা, বা যেখানে চিৎকার-চেঁচামেচি করলেও কেউ জানতে না পারা, বা
ছিনতাই করতে গেলে নির্জন রাস্তায় রাত্রী বেলা, যেখানে পুলিশের টহল নেই, জনসমাগম কম, বা ভিকটিম একা চলাফেরা করবে, বা খুন করলেও কেউ দেখবে না, বা কাজ করার কথা বলে চা মিষ্টি খাওয়ার নাম করে ঘুষ গ্রহণের চিন্তা, ইত্যাদি অপরাধ স্থান ,কাল ,পাত্র সময় সুযোগ, কৌশল ব্যবহার করে অপরাধী ভিকটিমকে শিকার করতে পারে।
সামাজিক অবস্থান এমন ভীত যে অপরাধ করলেও পরিবেশ-পরিস্থিতি মানানসই হবে, বা পরিবেশ থেকে বিরূপ কোনো প্রতিক্রিয়া আসবেনা, বা পরিবেশ পরিস্থিতি ,চিত্ত বৃত্ত ,দর্শন, অক্ষ, সমঝোতা, বিচার সালিশ সমষ্টিগত কর্মকাণ্ড অপরাধীর জন্য সুবিধাজনক হবে।
অধিকাংশ শরণার্থী র আগমন পাহাড়, নদী,জংগল,মরুএলাকা দিয়ে ঘটে।তাদের গমনাগমন এর ইতিহাস দেখলে চোখে পানি আসে ।কিন্তু তাদের মধ্যে ই থাকে অপরাধী। তারা কিন্তু শরণার্থী ভাবে না ।তারা অসহায় শরণার্থীদের লুডু খেলার সাপের মত গিলে ফেলছে ।পৃথিবীর 7:5কোটি শরণার্থী র মধ্যে বাংলাদেশে হয়ত 8/10 কোটি আছে ।বাংলাদেশ পুলিশ শরণার্থী দের গিলে খাওয়া সাপ শিকারে খুবই পারদর্শী। আর এটা দেখে দেশের অন্যান্য অপরাধী র ও শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত। পাহাড়ে থেকেই তারা রক্ষা পাচ্ছে না আর সমতলের অপরাধী ধরা ত সময়ের ব্যাপার।
আর ধৈর্য ধরে পড়া পাঠক দের বলতে চাই
ভিকটিম হওয়া থেকে সতর্ক থাকা অথবা অপরাধী হওয়া থেকে বিরত থাকা একটি ব্যক্তি বা গোষ্ঠীগত চেষ্টায় সম্ভব ।কিন্তু সমস্ত ব্যক্তি বা গোষ্ঠী সবাই মিলে পরিবেশটাকে সমুন্নত রাখলে অপরাধ প্রক্রিয়াটাকে প্রায় শূন্যের কোঠায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়।
অপরাধের তিনটি উপাদান কে যদি যেকোনো প্রচেষ্টায় একটি উপাদানকে যদি অনুপস্থিত রাখা য
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি ব্যুরো(রবিন হোসেন তাসকিন) : লক্ষ্মীপুরে যাত্রা শুরু করলো ‘ধ্রুপদী ক্লাব’ নামের একটি ক্রীড়া সংগঠন। এ উপলআক্ষ্যে গতকাল রবি...বিস্তারিত
লক্ষ্মীপুর৭১অনলাইন : আমজাদ হোসেন,লক্ষ্মীপুর "করোনাকালে নারীর নেতৃত্ব, গড়বে নতুন সমতার বিশ্ব" এ প্রতিপাদ্যকে স...বিস্তারিত
আহাম্মদ কবির (সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি) : সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়ন কৃষক লীগের আয়োজনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজ...বিস্তারিত
আহাম্মদ কবির (সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি) : সুনামগঞ্জ দেশের দ্বিতীয় রামসার সাইট টাঙ্গুয়ার হাওর পরিদর্শন করেন, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মোঃ মশিউ...বিস্তারিত
আহাম্মদ কবির (সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি) : সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বড়দল গ্রাম সংলগ্ন প্রায় শতাব্দী সময় ধরে উন্মুক্ত কেন্দুয়া নদী হতে গরীব ও ...বিস্তারিত
লক্ষ্মীপুর৭১অনলাইন : বন্দর নগরী ইপিজেড থানাধীন রেইনবো কমিউনিটি সেন্টারে বিকেল ৩ টায় বন্দর জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমি...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2021 lakshmipur 71 | Developed By Muktodhara Technology Limited