শিরোনাম
শাহাদাত হোসেন(কমলনগর উপজেলা) | ০৯:২০ এএম, ২০২০-০৬-২৫
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মেঘনা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গন যেন কেয়ামতের এক ধ্বংষযজ্ঞ। কেয়ামতের ধ্বংষযজ্ঞের সময় যেমন মানুষ ঘর-বাড়ি, জায়গা-জমি, পরিবার পরিজন ও আত্মীয়-স্বজন সবকিছু হারিয়ে ধ্বংষের সম্মুখীন হয় ঠিক তেমনি মেঘনা নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনে কমলনগরবাসী নিজেদের ঘর-বাড়ি, জায়গা-জমি হারিয়ে নিস্ব হয়ে যায়, হারিয়ে যায় আত্মীয়-স্বজন। নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গনে সহায় সম্বল সবকিছু হারিয়ে আত্মীয়-স্বজনরা প্রত্যেকে ছুটে বেড়ায় একটুখানি আশ্রয়ের খোঁজে। হারিয়ে যায় স্বজনদের মায়া, ভালোবাসা ও প্রীতির বন্ধন।
আগুনে পুড়ে কিংবা ঘূর্ণিঝড়ে ধ্বংষ হলে বাপ-দাদার ভিটাটুকুও অন্তত অক্ষত থাকে কিন্তু মেঘনার ভয়াবহ হিংস্র ভাঙ্গনে বাপ-দাদার ভিটাটুকুও রক্ষা পায় না। নদীতে তলিয়ে যায় পায়ের নিচের মাটি। হারিয়ে যায় হাজার বছরের পুরনো বাপ-দাদার স্মৃতি বিজড়িত ভিটেখানি। এই ভয়াবহ হিংস্র মেঘনার তান্ডবে সবকিছু হারিয়ে নিস্ব হয়েছেন কমলনগরের অধিকাংশ পরিবার। প্রতিনিয়তই এরকম ঘর-বাড়ি, ভিটে মাটি সহ সহায় সম্বল হারিয়ে নিস্ব হচ্ছে শত শত মানুষ। ঘর-বাড়ি ও ভিটে মাটি হারা এই আশ্রয়হীনেরা ছুটে বেড়ায় এক স্থান থেকে অন্য স্থানে। বাপ-দাদার পুরোনো ভিটে হারিয়ে মাথা গোঁজে বাঁধের ধারে। কারও ঠিকানা মেলে রাস্তার পাশে। কেউবা আবার একটুখানি মাথা গোঁজার জন্য আশ্রয় নেয় অন্যের বাড়িতে। অনেকেই আবার কোথাও একটুখানি মাথা গোঁজার ঠাঁই না পেয়ে অবস্থান নেয় খোলা আকাশের নিচে। একদিকে মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই অপরদিকে জীবিকারও নেই কোনো ব্যবস্থা। এভাবেই বিভিন্ন ছড়ায় উৎরাই পেরিয়ে অনিশ্চয়তায় কাটছে কমলনগরের মেঘনা পাড়ের মানুষের জীবন।
রাক্ষুসে এ মেঘনার ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পাচ্ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্কুল, মাদ্রাসা, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনাগুলোও। উপরের ছবিতে মেঘনায় তলিয়ে যাওয়া প্রায় ডুবু ডুবু যে ভবনটি দেখা যাচ্ছে সেটি ছিলো কমলনগরে চরফলকন ইউনিয়নের চর ফলকন সরকারি প্রা: বিদ্যালয়। যা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর তৃতীয় শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসুচিতে ২০১৪ সালে নির্মান করা হয়েছিলো। তখন বিদ্যালয় থেকে মেঘনা নদীর দুরত্ব ছিলো অনেক দুরে। কখনো নদীর ভাঙ্গণ এ পর্যন্ত আসতে পারে বলে কেউ ধারণাও করতে পারে নি। কিন্তু মাত্র পাচঁ/ সাড়ে পাচঁ বছরের ব্যবধানে চর ফরকন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি আজ নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। বিলিন হয়েছে স্কুল,মাদ্রাসা, মক্তবসহ আরো অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বাড়ি-ঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদীতে ভেঙ্গে যাওয়ায় মেঘনা পাড়ের শিশু-কিশোরদের জীবন পড়েছে চরম অনিশ্চয়তায় ও অবহেলায়। ফলে এসমস্ত শিশু-কিশোররা শিক্ষার আলোঁ থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে।
মেঘনার ভাঙ্গণের ঝুঁকিতে রয়েছে কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, হাট-বাজারসহ আরো অনেক সরকারি বেসরকারি স্থাপনা।
কিন্তু কমলনগরের মেঘনার এ ভয়াবহ ভাঙ্গণ প্রতিরোধে নেয়া হয়নি তেমন কোনো সরকারি উদ্যোগ। স্থানীয়দের অভিযোগ জনপ্রতিনিধিরা বার বার শুধু নদী বাঁধের আশ্বাস দিচ্ছেন কিন্তু নেয়া হচ্ছে না কোনো ব্যবস্থা। এরকমভাবে চলতে থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা।
তাই অতিদ্রুত ভাঙ্গণ প্রতিরোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মানসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে কমলনগরবাসী।
(লক্ষ্মীপুর৭১ডটকম/ শাহাদাত হোসেন সুমন)
নাঈম হোসেন(চন্দ্রগঞ্জ প্রতিনিধি) : আলতাফ হোসেন খাঁন লক্ষ্মীপুর জেলা চন্দ্রগঞ্জ থানার ১৩ নং দিঘলী ইউনিয়নের সাবেক ছাত্র নেতা ও ৪ ন...বিস্তারিত
ঢাকা প্রতিনিধি(অমিত সুত্রধর) : আসন্ন সাভার পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান কাঊন্...বিস্তারিত
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের করোনা ভাইরাস থেকে আরোগ্য কামন...বিস্তারিত
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খাঁন নিখিলের করোনা ভাইরাস থেকে আরোগ্য কাম...বিস্তারিত
ঢাকা প্রতিনিধি(অমিত সুত্রধর) : আসন্ন সাভার পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান পৌর আ...বিস্তারিত
লোকমান হোসাইন( রামগঞ্জ উপজেলা) : ব্যাপক উৎসাহ,উদ্দিপনা ও নির্বাচনী উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে জমে উঠেছে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ পৌর সভ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2021 lakshmipur 71 | Developed By Muktodhara Technology Limited