শিরোনাম
এম.এ নোমান চৌধুরী(চরফ্যাশন, ভোলা) | ০৮:৫৮ পিএম, ২০২০-০৭-০৫
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ভোলায় মেঘনা নদীতে বন্ধ হচ্ছেনা বাগদা রেনু শিকার। এক শ্রেণির মুনাফালোভী জেলে চক্র মশারি জাল দিয়ে বাগদা শিকার করেই চলেছে।
ওই জালে বাগদা রেনুর সঙ্গে উঠে আসছে বিভিন্ন দেশি প্রজাতির মাছের পোনা। যা বাগদা শিকারিরা নদী তীরেই ফেলে যাচ্ছেন। ফলে শুধু বাগদাই নয়, হুমকির মুখে পড়ছে অন্যান্য প্রজাতির মাছের পোনা ও ডিম। নির্বিচারে ডিম ও পোনা ধ্বংস করায় কমে যাচ্ছে নানা জাতের দেশি মাছের উৎপাদন। ফলে বাজারে দেশি মাছের সরবরাহ কমে বাড়ছে দাম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নদীর তীর ঘেঁষে কিংবা চরের মধ্যে মশারি জাল দিয়ে প্রতিদিন চলছে বাদগা রেনু শিকার। সঙ্গে উঠছে নানা জাতের মাছের পোনা ও ডিম আর বিভিন্ন প্রজাতির পোকা-মাকড়। এরপর বিশেষ পাত্রে বাগদা রেনু রেখে বাকিগুলো বাইরে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। ফলে অন্যান্য প্রজাতির মাছ ধ্বংসের পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র্য।
ভোলার হাকিমুদ্দিন, কোড়ারহাট, তুলাতরী, ইলিশা, মদনপুর, শিবপুর, লালমোহন, কচ্ছপিয়া, রাজাপুর, রামদাসপুর ও চরফ্যাসনের শতাধিক পয়েন্টে অবাধে রেনু শিকার চলছে। আহরিত একেকটি পোনা দুই টাকা করে পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন তারা। যা পাইকাররা পরে কৌশলে পাচার করেন ঘের ও হ্যাচারি মালিকদের কাছে।
ভোলায় মেঘনার বিভিন্ন পয়েন্টে অবাধে বাগদা শিকার চললেও তা বন্ধে নেই কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ। এতে অনেকটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন শিকারিরা।
বাগদা রেনু আহরণ ঠিক নয় স্বীকার করে কয়েকজন শিকারি বলেন, বৈশাখ থেকে আষাঢ় পর্যন্ত বাগদা রেনু পাওয়া যায় নদীতে। ইলিশ বা অন্যান্য মাছ ধরতে হলে নদীর গভীরে যেতে হয়, দরকার পড়ে নৌকার, ইঞ্জিন চালিত নৌকার জন্য আবার জ্বালানি তেল লাগে, সব মিলিয়ে তাতে খরচ ও শ্রম দুই-ই লাগে অনেক বেশি। আর বাগদা রেনু শিকার করা যায় নদীর তীর ঘেঁষেই, সঙ্গে একটা মশারি জাল আর পাত্র হলেই চলে। অন্য মাছ ধরার চেয়ে অনেক সহজে ও বিনা পুঁজিতে শিকার করা যায় বাগদা রেনু। আর দামও পাওয়া যায় ভালো। একেকজনের প্রতিদিন গড়ে ৫০০ থেকে হাজার টাকা আয় হয়, তাই ছেলে-বুড়ো সবাই নেমে পড়েন বাগদা শিকারে। বাগদা রেনুর মৌসুমে অনেক জেলেই অন্য মাছ ধরা বাদ দিয়ে রেনু শিকার করেন। তবে রেনু শিকারের সময় অন্যান্য প্রজাতির পোনাও জালে উঠে আসে। বাগদা রেনু রেখে বাকি পোনাগুলো নদী তীরেই ফেলে দেওয়া হয়। যা নষ্ট হয় সেখানেই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেল, অন্য জেলায় ভোলার বাগদা রেনুর চাহিদা থাকায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বেশি মুনাফার আশায় অনেক জেলে বাগদা শিকারে নেমে পড়েছেন।
ভোলা মৎস্য ও জেলে সমিতির সভাপতি মো. এরশাদ বলেন, আমরা জেলেদের বাগদা শিকার করতে নিষেধ করেছি, কিন্তু তারা আমাদের কথা শোনেন না। এ বিষয়ে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন।
ভোলা সদর সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বাগদা শিকার বন্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান চলছে, এছাড়া প্রচারণাও চালাচ্ছি। অনেক জেলেকে ডেকে এনে বাগদা শিকার করতে নিষেধ করা হচ্ছে।
এদিকে বাগদা রেনু শিকার বন্ধ করে দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষার দাবি ভোলাবাসীর।
এম.এ নোমান চৌধুরী(চরফ্যাশন, ভোলা) : চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানার নুরাবাদ ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মিজানুর রহমান সোহাগের ২য় মৃত্...বিস্তারিত
এম.এ নোমান চৌধুরী(চরফ্যাশন, ভোলা) : চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানার আহাম্মদপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের হাজির হাট বাজারে এইচএসসি পর...বিস্তারিত
এম.এ নোমান চৌধুরী(চরফ্যাশন, ভোলা) : ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়ন লক্ষে অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম কলেজ স...বিস্তারিত
এম.এ নোমান চৌধুরী(চরফ্যাশন, ভোলা) : ভোলা-৪ চরফ্যাসন-মনপুরা আসনের আওয়ামীলীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য, চরফ্যাসন সরকারি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা...বিস্তারিত
এম.এ নোমান চৌধুরী(চরফ্যাশন, ভোলা) : ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানায় নুরাবাদ ইউনিয়নে অবস্থিত নুরাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয...বিস্তারিত
এম.এ নোমান চৌধুরী(চরফ্যাশন, ভোলা) : চরফ্যাশন উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা, স্বাধীন বাংলার সূর্য সন্তান, বীর মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2021 lakshmipur 71 | Developed By Muktodhara Technology Limited