শিরোনাম
সুবীর সিকদার (পিরোজপুর) | ১২:০৫ এএম, ২০২০-০৭-১৬
হা-ডু-ডু কিংবা কাবাডি বাংলাদেশের জাতীয় খেলা, একদমে উচ্চারিত এই শব্দগুলো এক সময় বেশ জনপ্রিয় ছিল। হা-ডু-ডু কোনো এক সময় গ্রামবাংলায় ভীষণ জনপ্রিয় ছিল। উৎসব করে হতো এ খেলা, আন্তর্জাতিকভাবেও পেয়েছে স্বীকৃতি। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে এই হা-ডু-ডু। এখনকার ছেলেমেয়েদের কাছে হা-ডু-ডু পাঠ্যপুস্তকের কেবল একটি নাম। এ যুগের ছেলেমেয়েরা তাদের দেশীয় সংস্কৃতির চাইতে বিদেশি বিষয় নিয়েই মাতামাতি করে বেশি। এর ভুক্তভোগী হয়েছে এই খেলাও।
হাডুডু খেলার ইতিহাস: অনেকে মনে করেন, এই খেলার উৎপত্তিস্থল বরিশালে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশ হা-ডু-ডু ফেডারেশন গঠন করা হয়।
১৯৭২ সালে এ খেলার নামকরণ হয় কাবাডি। সে বছরই কাবাডি জাতীয় খেলার মর্যাদা পায়। তবে জাতীয় খেলার মর্যাদা পেলেও এই খেলা তখন কেবল গ্রাম বাংলাতেই হতো।
১৯৭৮ সালে ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং বার্মার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এশিয়ান কাবাডি ফেডারেশন গঠন করা হয়। তবে ১৯৮০ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম কলকাতায় এশিয়ান কাবাডি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ভারত চ্যাম্পিয়ন এবং বাংলাদেশ রানার্সআপ হয়।
১৯৯০ সালে প্রথমবারের মতো বেইজিং-এ অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে অন্তর্ভুক্ত হয় কাবাডি। এই প্রথম আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রৌপ্য পদক গ্রহণ করে বাংলাদেশ।
কাবাডি খেলায় দুটি দল অংশ নিতে পারে। প্রতি দলে ১২ জন করে। তবে মাঠে ৭ জনের বেশি নামতে পারে না। বাকি ৫ জন অতিরিক্ত থাকে। খেলা চলার সময় ৩ জন খেলোয়াড় পরিবর্তন হতে পারে। এছাড়া খেলার সময় বিরতিসহ পুরুষদের জন্য ২৫ মিনিট আর মেয়েদের জন্য ২০ মিনিট।
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পাওয়ার পরেও বিদেশি খেলার কাছে হারিয়ে যাচ্ছে বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই হা-ডু-ডু খেলা। ক্রিকেট, ফুটবল, বাসকেট বলের কাছে এখন প্রায় বিলিনের পথে জনপ্রিয় এই হা-ডু-ডু অথবা কাবাডি। এখন অনেক বাচ্চারা এই খেলার নিয়মই জানে না। এমনকি অনেকে হয়তো জানে না এর নামও।
গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া খেলাটির অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে ১৫ ই জুলাই (বুধবার) বিকালে নেছারাবাদ(স্বরূপকাঠী) উপজেলার ৭নং গুয়ারেখা ইউনিয়নে আয়োজন করা হয় হা-ডু-ডু প্রতিযোগীতার।
প্রতিযোগীতাটি পূর্ব গুয়ারেখা গ্রাম বনাম সৈলবুনিয়া গ্রামের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। খেলার ফলাফল সৈলাবুনিয়া ০ – গুয়ারেখা ০৬।
সৈলবুনিয়া গ্রাম থেকে খেলা দেখতে আসা অয়ন বিশ্বাস নামের এক যুবক বলেন, অনেকদির পর গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলাটি দেখে তিনি ভিষন খুশি। একই সাথে তিনি আয়োজক কমিটিকেও ধন্যবাদ জানান। তিনি আরো বলেন, শুধু হা-ডু-ডু নয়, হারিয়ে যাওয়া গ্রাম বাংলার সকল ঐহিত্যবাহী খেলাই ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।
ঢাকা প্রতিনিধি(অমিত সুত্রধর) : ২য় বারের মতো মেয়র হাজী আব্দুল গনিকে বরন করলেন ৬নং ওয়ার্ডবাসী।আজ বিকেলে ৫ঘটিকায় সাভার পৌরসভার ৬নং ...বিস্তারিত
লক্ষ্মীপুর৭১অনলাইন : কোটালীপাড়া উপজেলা প্রতিনিধিঃ জেমস বাড়ৈ ধানক্ষেতে ধানের ক্ষতিকর পোকামাকড় সনাক্ত করার জন্য ফা...বিস্তারিত
এনায়েত হোসাইন ভূঁইয়া মামুন(রায়পুর প্রতিনিধি) : রায়পুর পৌরসভার আসন্ন নির্বাচনে ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে (উটপাখি) প্রতীক নিয়ে তরুণ সমাজ সেবক মোঃ ইক...বিস্তারিত
আলী আজগর রবিন(রায়পুর) : লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলায় মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার গৃহহীন ও ভূম...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক বাংলা ৭১নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি ও অবজারভার এর সুবর্ণচর প্রতিনিধি, নোয়াখালী প্রতিদিনে...বিস্তারিত
আহাম্মদ কবির (সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি) : দলকে আরও সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে সুনামগঞ্জ তাহিরপুরের তৃণমূল পর্যায়ের আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2021 lakshmipur 71 | Developed By Muktodhara Technology Limited