শিরোনাম
নাহিদুল ইসলাম(রামগতি উপজেলা) | ০৭:৫৫ পিএম, ২০২০-০৭-১৯
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার ইউনিয়নে মেঘনা নদীর ভাঙনে গত দুই সপ্তাহে ৮০টির বেশি বসতভিটা বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন আতঙ্কে আলেকজান্ডার ইউনিয়নে আরও শতাধিক বসতঘর সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
উপজেলার চর আলেকজান্ডার ইউনিয়নের আসলপাড়া, মুন্সীরহাট মেস্তরীপাড়া ও বালুর চর ও সুইচগেইট ও কলোনী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, নদীর পূর্ব তীরের প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে।
গত শনিবার বিকালে চর আলেকজান্ডার ইউনিয়নের বালুর চরের বকসী বাড়ির এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বকসী বাড়ির সকল বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। গৃহহারা রফিক বলেন,এ নিয়ে আমাকে ৩ বার নদী ভাঙ্গে। আগুনে পুড়লে ঘর পুরে কিন্তু ভিটে থাকে। আর নদী ভাঙ্গলে কিছুই থাকে না, এখন আমি খোলা আকাশের নিচে জীবন অতিবাহিত করছি। নদীর মুখোমুখি আছে আওরাজ হাওলাদার বাড়ি, বাড়ির মসজিদ টি ও হাওলাদার বাড়ির প্রাথমিক স্কুলটি। হয়তো প্রচণ্ড বাতাস আর উত্তাল ঢেউয়ের আঘাতে কয়েক দিনের মধ্যেই নদীতে ধসে পড়তে পারে।
এ গ্রামের কমরুদ্দি বাড়িসহ অনেক বাড়ি এখন নদী ভাঙনের মুখে রয়েছে। কিছু কিছু ঘর সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
মুন্সীরহাটের বাজার ব্যবসায়ীরা বলেন, বাংলাবাজার টি ভেঙ্গে যাওয়ার পরে আমরা বাজার টি স্থানান্তর করে মুন্সীরহাট স্থাপন করি। কিন্তু বছর দুয়েক এর মধ্যে নদী আমাদের নিকটে চলে আসছে। বাজারের দক্ষিণ প্রান্তেই নদী। অতিরিক্ত জোয়ারের পানি বাজারে টেউ চলে আসে। আর কিছুদিনের মধ্যেই শতাধিক দোকান স্থানান্তর করতে হবে।এবং অনেকেই এ অবস্থায় অনেকেই দোকান সরিয়ে নিচ্ছেন। বাজারের একটু উত্তরেই অবস্থিত বালুর চর সিনিয়র মাদ্রাসা। যেটা বালুর চরের সর্ব প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
চর আলেকজান্ডার ইউনিয়নের ইতিপূর্বে বিলীন হয়ে গেছে মেস্তরীপাড়ার আনোয়ার উল্লাহ শিকদার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরগেছপার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালুর চর বানাত মাদ্রাসা ও বালুর চরের জনতাবাজার স্লুইস গেইট ভাঙনের মুখে রয়েছে।
এ বিষয়ে চর আলেকজান্ডার ইউনিয়নের অনেকেই লক্ষীপুর ৭১ কে বলেন, পাঁচটি গ্রামে ভাঙন তীব্র। এভাবে চলতে থাকলে আগামী বর্ষার মধ্যে পাঁচটি গ্রাম বিলীন হয়ে যাবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) লোকজন বিভিন্ন সময়ে ভাঙনকবলিত এলাকা দেখে গেছেন। ভাঙন প্রতিরোধের জন্য তাঁদের কাছে দাবিও জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।
তবে বর্তমানে ইউনিয়নের মেঘনা নদীর ভাঙন রোধে তাৎক্ষণিক কোনো উদ্যোগ নেই পাউবোর। এ বিষয়ে বর্তমানে জানা গেছে রামগতি ও কমলনগর উপজেলার কিলোমিটার এলাকায় মেঘনা নদীর ভাঙন প্রতিরোধের জন্য ‘নদীর তীর সংরক্ষণ’ প্রকল্পের কাজ চলছে। রামগতি কমলনগর যে প্রকল্পটি তা একনেকে উঠার জন্য চেষ্টা করতাছে।
মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী(রামগতি) : প্রতি বছরের মতো এবার ও ঘটা করে পালিত হচ্ছে বাঙ্গালীদের প্রাণের মেলা একুশে বই মেলা। এই বই মেলায় ল...বিস্তারিত
লক্ষ্মীপুর৭১অনলাইন : লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভার নির্বাচনে পৌর ৩নং ওয়ার্ডে ৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে থে...বিস্তারিত
ইসমাইল খাঁন সুজন (লক্ষ্মীপুর ) : লক্ষ্মীপুর জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত ক্রীড়া পরিদপ্তরের বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচির আওতায় লক্ষ্...বিস্তারিত
এনায়েত হোসাইন ভূঁইয়া মামুন(রায়পুর প্রতিনিধি) : রায়পুর পৌরসভার আসন্ন নির্বাচনে ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে (উটপাখি) প্রতীক নিয়ে তরুণ সমাজ সেবক মোঃ ইক...বিস্তারিত
আলী আজগর রবিন(রায়পুর) : লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলায় মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার গৃহহীন ও ভূম...বিস্তারিত
রামগতি উপজেলা প্রতিনিধি : খলিল মোল্লা(আলেকজান্ডার) ১২ নং চর গাজী ইউনিয়নের এক গরীব অসহায় ব্যক্তির ঘর না থাকায় মানবেতর জ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2021 lakshmipur 71 | Developed By Muktodhara Technology Limited