তারা যে ঘরে বসবাস করেন সেই ঘরটি জরাজীর্ণ। বসতভিটা ছাড়া তাদের আর কোনো জায়গাজমি নেই। তাই জীবনের সাথে যুদ্ধ করে বাবা-মা ও ভাই-বোনসহ বসবাস করেন ঝুঁকিপূর্ণ ঘরটিতে।
আখিঁ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামের হারুন মিকার ও শাহিনুর বেগমের দাম্পত্য ১ম কন্যা।জানা গেছে, সংসারের অভাব অনটনের কারণে ৩ বছর পূর্বে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায় আখিঁর লেখাপড়া।
তবে বন্ধ হয়নি তার ছোট ভাই মোঃ মামুন হোসেন ও ছোট বোন মাহি আক্তারের পড়ালেখা। মামুন পড়ে ৯ম শ্রেণীতে আর মাহি পড়ে পঞ্চম শ্রেণীতে।
তাদের পড়ালেখার খরচ চালাতেও খুব কষ্ট হয় মা বাবার। আখিঁ নিজের স্বপ্ন পূরণ না করতে পারলেও চেষ্টা করে যাচ্ছেন ভাই বোনের স্বপ্ন পূরণ করতে। তার বাবা হারুন ঢাকাতে সাত হাজার টাকার চাকুরী করেন।
এই সংবাদটি জে টিভি,জনকন্ঠ নিউজ,এবং লক্ষ্মীপুর ৭১ নিউজে প্রকাশের পর এগিয়ে আসেন, সেচ্চাসেবী সংগঠন প্রভাবশালী এবং জনপ্রতিনিধি গন তার নিমিত্তে ১৫ নং লাহারকান্দী ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মুশু পাটোয়ারি গৃহহীন আঁখির পরিবারের ঘর তৈরি করার জন্য টিন কিনে দেয়।

প্রকাশিত সংবাদটি
গৃহহীন আঁখির মা জানায় আপনাদের সহোযোগিতায় আমার ঘর করার সক্ষমতা এসেছে কিন্তু ঘরটি সম্পূর্ন করতে প্রায়ই আরো ২৫/৩০ হাজার টাকা লাগে। তার জন্য এখনো খোলা আকাশের নিচে থাকতে হয়। যদি তাড়াতাড়ি ঘরের কাজ সম্পূর্ন করতে না পারি হয়তো এই বর্ষাতে ছেলে মেয়েকে নিয়ে বাহিরে থাকতে হবে। তাই কেউ যদি আমাদের আর কিছু সহোযোগিতা করতো তাহলে আমার পরিবারটি খুবই উপকৃত হতো।
ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মুশু পাটোয়ারি বলেন আঁখির পরিবারটি খুবই অসহায় আমি প্রায়ই কুতুবপুর গ্রামে গেলে দেখি পরিবারটি থাকার ঘরটি খুবই জরার্জীন। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে আমার স্বল্প প্রচেষ্টায় যতটুকু পেরেছি সহোযোগিতা করেছি । ঘরের বাকি কাজটুকু সম্পূর্ন করতে আমি প্রভাবশালী, রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ, এবং সেচ্চাসেবী সংগঠন গুলোকে আহ্বান জানাচ্ছি।