রামগঞ্জে এক সপ্তাহে ধর্ষন সহ দুইটি হত্যাকান্ড, গ্রেফতার ৪জন

লোকমান হোসাইন( রামগঞ্জ উপজেলা)    |    ০৮:০৩ পিএম, ২০২০-০৮-১২

লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলায় চলতি সপ্তাহে ধর্ষণ সহ দুইটি হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রকাশ হয়েছে।

সূত্রমতে, গত শনিবার ৮ আগষ্ট উপজেলার ভাটরা ইউপির বাড়খারা গ্রামের গ্রাম পুলিশ লোকমান হোসেন এর মেয়ে ফাতেমা আক্তার প্রিয়া (১৪)কে বেড়ানোর নাম করে নিয়ে গিয়ে ধর্ষন করে হত্যার অভিযোগ উঠে। ধর্ষনের অভিযোগে একই এলাকার ধর্ষক বাহারুল আলম বাহার (২৯) কে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়।
অন্যদিকে প্রিয়া হার্টের সমস্যায় মারা গেছে বলে প্রচার করে ধর্ষক বাহার ও তাহার লোকজন তড়িগড়ি করে লাশ কবর দিয়ে দেয়, কিন্তু কবর দেওয়ার পরে যাহারা মৃত প্রিয়াকে গোসল করিয়েছিল তাহারা প্রিয়ার যৌনাঙ্গে রক্তক্ষরণ ও শরীরের আঘাতের চিহ্ন দেখে সন্দেহ হলে কবর দেওয়া শেষে তা বলাবলি করিলে প্রিয়ার বাবা থানায় একটি হত্যা মামলা করে। এতে ঐদিন রাত্রেই পুলিশ বাহারকে গ্ররফতার করে।

 অবশেষে  চারদিন পরে আজ বুধবার দুপুরে আদালতের নির্দেশে প্রিয়ার লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। 

অপরদিকে গত ১০ আগষ্ট সোমবার উপজেলার নোয়াগাঁও ইউপির  সাউদেরখিল গ্রামের মোল্লাবাড়ির মহসিনের ছেলে জহিরুল ইসলাম জনিকে তাহার ৯ মাসের অর্ন্তসত্তা স্ত্রী তানজিলা রহমান আয়না (২৪) কে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে রামগঞ্জ থানা পুলিশ।
জনির পরিবার জানায় নাস্তা খেতে বসে স্টক করে পড়ে গিয়ে মারা যায় আয়না। লাশ ময়না তদন্ত শেষে আয়নার গ্রামের বাড়ি বরিশালে পিতার বাড়িতে দাফন করা হয়।

একই দিনে দীর্ঘ ১১ দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান শহরের পৌর সোনাপুর আঠিয়া বাড়ির নির্মান শ্রমিক রিয়াদ হোসেন। 
  
সূত্রমতে,  ৩১শে জুলাই রাত্রে রিয়াদকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের পাশে পেলে রাখা হয়।তারপর ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
 পরে নিহত রিয়াদের বড় ভাই সাদ্দাম হোসেন দুইজনকে আসামী করে রামগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করিলে পুলিশ এজাহারভুক্ত পাবেল ও হোসেন নামে দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে।