শিরোনাম
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি ব্যুরো(রবিন হোসেন তাসকিন) | ০৯:১৪ পিএম, ২০২০-০৯-০১
লক্ষ্মীপুরে এক কৃষককে চুরির অপবাদ দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। পরে সালিশ বৈঠক বসিয়ে মামলা না করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে কৃষকের পরিবারের সবার কাছ থেকে জোর করে কয়েকটি সাদা কাগজে সই নেওয়ারও অভিযোগ ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। তাদের হুমকিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে কৃষকের পরিবার। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ওই কৃষককে স্থানীয়রা উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এলাকাবাসী ও কৃষকের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার চররমনী ইউনিয়নের চরআলী হাসান এলাকার তিন সন্তানের জনক হতদরিদ্র কৃষক আমির হোসেন। ২৩ আগস্ট রাতে ঘরে ফেরার পথে তাকে চুরির অপবাদ দিয়ে প্রতিবেশী সোহাগ, জুলহাস, আরিফ হোসেন ও দেলু নামে কয়েকজন আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন চালায়। একপর্যায়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ ছৈয়াল ও সদস্য স্বপনকে খবর দেয় তারা। পরে তাদের উপস্থিতিতেও বেদম মারধর করা হলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন ওই কৃষক। কৃষকের চিৎকারে পরিবারের লোকজন এগিয়ে এলে তাকে ইউপি সদস্য স্বপনের বাড়িতে নিয়ে একটি সালিশ বৈঠকের আয়োজন করেন চেয়ারম্যান।
আমির হোসেন জানান, ইউপি চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন ধরে তার কাছ থেকে কিছু জমি হাতিয়ে নিতে চান। ওই জমি দিতে রাজি না হওয়ায় পরিকল্পিতভাবে চুরির অপবাদ দিয়ে এই নির্যাতন চালায়। মামলা না করতে এবং চিকিৎসা না নেওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে তিনিসহ তার স্ত্রী ও তিন সন্তানের কাছ থেকে কয়েকটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন চেয়ারম্যান ও ওই সদস্য স্বপন। তাদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তারা। বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে পুরো পরিবার।
এ দিকে কৃষকের স্ত্রী ও সন্তানরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ ছৈয়াল তাদের কাছ থেকে ২০ শতক জমি নিতে চাপ সৃষ্টি করে। ওই জমি না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যানের নির্দেশে চুরির অপবাদের নাটক সাজিয়ে নির্যাতন চালানো হয়। এ ঘটনার পর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন জানিয়ে এর সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তারা।
অপরদিকে স্থানীয়রা জানান, কৃষক আমির হোসেনকে এলাকার সবাই ভালো মানুষ হিসেবে জানে। চুরি করার মতো কোনও তথ্য তাদের কাছে নেই। এরপরও যদি তিনি চুরি করেন তাহলে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে। কিন্তু চুরির অভিযোগ দিয়ে এভাবে নির্যাতন চালানো যায় না। এ বিষয়ে তদন্ত করে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান তারা।
সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. আরমানুর রহমান অপু বলেন, ‘আমির হোসেনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে এখনও তাকে আশঙ্কামুক্ত বলা যাবে না। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তা বলা যাবে।’
অভিযুক্ত চররমনী মোহন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ ছৈয়াল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমির হোসেনকে চুরি করার অপরাধে স্থানীয়রা মারধর করেছে।’ এ ঘটনা ও জমির বিষয়ে তিনি জড়িত নন বলে দাবি করেন।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান বলেন, ‘এখনও কোনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শরীফুল ইসলাম শিমুল(নাটোর লালপুর উপজেলা) : মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে ইন্সপাইয়ার উইংসের আয়োজনে এবং ডক্টরস পয়েন্...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : দারিদ্র ফাউন্ডেশন ব্লাড ব্যাংক এর আয়োজনে ফ্রি-ব্লাড গ্রুপ ক্যাম্পেইন সম্পন্ন হয়েছে। ক্যা...বিস্তারিত
স্টাফ রিপোর্টার : কমলনগর( লক্ষ্মীপুর) : সারাদেশের ন্যায় সরকার কর্তৃক করোনা ভ্যাকসিন কমলনগরেও অব্যাহত রয়েছে। এর ...বিস্তারিত
স্টাফ রিপোর্টার : লক্ষ্মীপুর সেচ্চাসেবী সংগঠনের ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্পাইন লক্ষ্মীপুরে সেচ্চাসেবী সংগঠন ব...বিস্তারিত
স্টাফ রিপোর্টার : উজ্জ্বল শিকদার, নিয়োগ বিধি সংশোধন করে বেতন বৈষম্য নিরাসন সহ ৪দফা দাবিতে প্রথম দিনের ন্যায় দ্বিত...বিস্তারিত
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি ব্যুরো(রবিন হোসেন তাসকিন) : টেকনিক্যাল পদমর্যাদা ও বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে স্বাস্থ্য পরিদর্শক...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2021 lakshmipur 71 | Developed By Muktodhara Technology Limited